সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : কপোতাক্ষ নদের এপার-ওপারে দুই উপজেলার মানুষের পারাপারে একমাত্র অবলম্বন ঘোষনগর এলাকায় তৈরি বাঁশের সাঁকো। নদের ওপারে খুলনার কপিলমুণি এপারে সাতক্ষীরার তালার ঘোষনগর।
কিন্তু সাঁকোটির অবস্থা বেহাল। যেকোনো সময় তা ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
তালা উপজেলার জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম. মফিদুল হক লিটু বলেন, জালালপুর ও পাইকগাছা তালাসহ বিস্তীর্ণ জনপদের হাজার হাজার মানুষের নদী পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোটি দিয়ে পার হতে হয়।
এই এলাকার রুহুল কুদ্দুস শেখ, মো. মনিরুজ্জামান, সোহরাব মোড়ল, কার্ত্তিক কপাট, উত্তম হালদার, পিয়া আক্তার মনিরা, মানসীসহ কয়েকজন জানান, ঘোষনগর খেয়াঘাটে বরাবরই যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হয়। এনিয়ে ঘাট মালিক-যাত্রীদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। তবে টোল বেশি নিলেও সেই তুলনায় সেবা পায় না মানুষ।
নাম প্রকাশ না করে একজন টোল আদায়করীরা জানান, ঘাটটি ইজারা নিয়ে তারা বৈধভাবে টোল আদায় করছেন। সাঁকোটি মেরামত করার দায়িত্ব ঘাট মালিকের।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর কালিদাশ অধিকারী জানান, সাঁকোটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইজারাদার টাকা নিচ্ছে ঠিকই কিন্তু এটি মেরামতের ব্যবস্থা করছে না।
ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু বলেন, দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এখানে ব্রিজ নির্মাণ জরুরি। কয়েকবার জরিপও হয়েছে। কিন্তু আইনি জটিলতায় তা কার্যকর হয়নি।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তারিফ-উল-হাসান বলেন, 'সম্প্রতি এই উপজেলায় যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে জনস্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'