স্টাফ রিপোর্টার : যশোরে মানব পাচার মামলায় ফরিদা বেগম নামে এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে না পাওয়ায় অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক টিএম মুসা এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ফরিদা বেগম যশোর শহরের বেজপাড়ার মিনুর বাড়ির ভাড়াটিয়া রেজাউল ইসলামের স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৩ জুন যশোর সদরের খরিচাডাঙ্গা গ্রামের এক গৃহবধূকে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরির প্রলোভন দেখায় আসামি ফরিদা বেগম। তার প্রস্তাবে রাজি হলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফরিদা বেগম অপর আসামিদের সহযোগিতায় ভারতের পুনে শহরে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। এরপর ওই গৃহবধূর সাথে তার পরিবারের লোকজন কথা বলেতে চাইলে ফরিদা দশ হাজার টাকা দাবি করে। ওই গৃহবধূর সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে খোঁজ নিয়ে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, ফারিদা বেগম তাকে ভারতে পাচার করে দিয়েছে। ওই বছরের ২০ জুন গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে মানব পাচার দমন আইনে যশোর কোতয়ালী থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তাছলিমা।
সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি সেতারা খাতুন বলেন, দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আজ তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। এ মামলার অন্য তিন আসামি সাজাপ্রাপ্ত ফরিদা বেগমের স্বামী রেজাউল ইসলাম, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আসলাম শেখের স্ত্রী নিলুফা ওরফে মিনুকা ও বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের এরশাদ আলী মোড়লের ছেলে আফেল উদ্দিন ওরফে আফেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত ফরিদা বেগম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।