এস এম আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা (খুলনা) : পাইকগাছা পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে গোটা এলাকা পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ভ্যান-রিকশাযাত্রীদের মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় পৌর নির্বাচন। কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে কাকডাকা ভোর হতে মধ্যরাত অবধি প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা ছুটে চলেছেন প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া ও মহল্লায়। এক কথায় নির্বাচন নিয়ে পাইকগাছা পৌর এলাকায় চলছে উৎসবের আমেজ।
পৌর নির্বাচনে তফসিল ঘোষণায় নির্বাচনী এলাকাজুড়ে প্রথমত শোভা পাচ্ছিল সম্ভাব্য প্রার্থীদের শুভেচ্ছা সম্বলিত প্যানা। আর প্রতীক বরাদ্দের পর শহরের প্রতিটি অলিগলি ছেঁয়ে গেছে প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে। সময় যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তাপ বাড়ছে প্রতিটি ওয়ার্ডে।
মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও ভোটের মাঠে তার কোন প্রভাব নেই। তবে প্রচারণায় কিছুটা নিরুত্তাপ দেখা গেছে। অবশ্য নির্বাচনী মাঠ সরগরম রেখেছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত সেলিম জাহাঙ্গীর ও কমিউনিস্ট পার্টির অ্যাডভোকেট প্রশান্তকুমার মণ্ডল ছাড়াও নয়টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় আওয়ামী লীগের সেলিম জাহাঙ্গীরের বিজয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে কাউন্সিলর পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছেন ভোটাররা। এজন্য পোস্টারের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাইকিং রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। প্রার্থীদের স্ব-স্ব পরিচিতিসহ প্রতিশ্রুতিসম্বলিত লিফলেটও বিতরণ করা হচ্ছে। বিশেষ করে পরিচিত সব জনপ্রিয় গানের সুরে ভোট প্রার্থনা গোটা পৌর এলাকায় উৎসবের আমেজ তৈরি করেছে।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. কামাল উদ্দীন আহম্মেদ জানান, আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোটার ১৪ হাজার ৪৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন সাত হাজার ৭৩ জন ও সাত হাজার ৩৫৮ জন নারী ভোটার। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে; যাতে জনমানুষের রায় প্রতিফলিত হয়।