স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল (যশোর): কোভিড-১৯ উপেক্ষিত করে স্বল্প পরিসরে হলেও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বেনাপোল চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে (ভারতীয় অংশে) বসে দু-বাংলার ভাষাপ্রেমীদের মিলনমেলা।
দু'বাংলার ভাষাপ্রেমী মানুষদের মিলনমেলা উপলক্ষে নির্মাণ করা হয় একুশে মঞ্চ। আয়োজক- দুই বাংলার আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন পরিষদ। বেনাপোলে কোনো অনুষ্ঠান না হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে ১০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন ওপারের অনুষ্ঠানে।
প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি বেনাপোল চেকপোস্টের নোম্যান্সল্যান্ডে পালিত হয় যৌথভাবে। এবারই ব্যতিক্রম। বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৫ জন সাংবাদিক প্রবেশের অনুমতি পান।
বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বনগাঁর পৌরমেয়র শঙ্কর আঢ্য। সকালে অনুষ্ঠান শুরুর আগেই নিজ নিজ ভূ-খন্ডে অপেক্ষায় ছিলেন আয়োজকরা। তারপর সীমানা পেরিয়ে শূন্যরেখায় পা রাখেন দু’দেশের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন, বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মোঃ আজিজুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মনজু, জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, ভারতের বনগাঁর পৌরমেয়র শঙ্কর আঢ্য, উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের প্রাক্তন বিধায়ক ও মেন্টর গোপাল শেঠ, উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সহ সভাপতি শ্রীকৃষ্ণ গোপাল ব্যানার্জী, বনগাঁ লোকসভার প্রাক্তন সংসদ মমতা ঠাকুরসহ উভয়দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, কবি, সাহিত্যকরা।
অস্থায়ী শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে স্মরণ করেন ১৯৫২ সালের ভাষা শহিদদের, যাদের আত্মত্যাগের কারণে পুরোবিশ্ব আজ একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করে মাতৃভাষার দিবস হিসেবে।